আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কেতুগ্রামে স্ত্রীর হাত কেটে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সহ আরও চার অপরাধীর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেস দিলেন বিচারক।
সোমবার ওই চার অভিযুক্তকে কাটোয়া মহকুমার অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় আদালতে পেশ করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম শের মহম্মদ ওরফে সরিফুল, চাঁদ মহম্মদ, আসরাফ আলি শেখ ও হাবিব শেখ। তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
সরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ পেয়েছিল রেণু খাতুন। অভিযোগ, সেই আক্রোশে ঘুমের মধ্যে দুই ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে তার উপর চড়াও হয় রেণুর স্বামী শরিফুল। গাছ কাটার কাঁচি দিয়ে রেণুর ডানহাত কেটে নেয়। তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় শরিফুল। বন্ধুদের নিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারে পুলিশ। পরে অবশ্য আসল সত্যিটা সামনে আসে। ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার শরিফুলের বাবা সিরাজ সেখ ও মা মেহেরনিকা বিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, ভাড়া করা দুষ্কৃতী আসরফ আলি শেখ ও হাবিব শেখ এবং প্রধান অভিযুক্তের মাসতুতো ভাই চাঁদ মহম্মদ তিনজনেই ওই কাণ্ড ঘটিয়ে রাতে একটি ভাড়া করা গাড়িতে চেপে কেতুগ্রামের কোজলসা থেকে মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার তালগ্রাম ফিরে গিয়েছিল। পুলিশ সেই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে। এদিকে কব্জি কাটার ঘটনায় ব্যবহৃত দা ও অভিযুক্তদের রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে কেতুগ্রাম থানা এলাকার চিনিসপুরের বাসিন্দা রেনু খাতুনের সঙ্গে কেতুগ্রামের সরিফুল শেখের বিয়ে হয়েছিল। সরিফুল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। প্রথম কিছুদিন চাকরির পরে বাবার মুদির দোকানে বসত। বিয়ের পর বেসরকারি নার্সিংহোমে নার্সের কাজ করত রেণু। পরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে ট্রেনিং নিয়ে সরকারি হাসপাতালে চাকরি পায়। অভিযোগ, সরকারি চাকরি পেয়ে স্বামীকে ছেড়ে রেণু চলে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় দু-বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রী ডান হাত কেটে ফেলে সরিফুল শেখ।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.